০৩। ব্লাড সুগার স্পাইকস: তাদের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকা সত্ত্বেও, একসাথে অনেক কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সকালে খালি পেটে আসলে এই ফল খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান খালি পেটে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে শর্করা খালি পেটে দেহের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আবার খালি পেটে এই ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
কলায় থাকা আয়রন রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বাড়ায়, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে। অ্যানিমিয়া হলে শরীরে ক্লান্তির অনুভূতি হতে পারে, এবং শ্বাসকষ্ট অনুভূতি করতে পারেন। কলা একটি অত্যন্ত উপকারী ফল যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। আয়রন রক্তে লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে এবং ভিটামিন বি৬ রক্তে গ্লুকোজ মেটাবলিজমের প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।
ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ করে ত্বক ভালো রাখে ও তারুণ্য ধরে রাখে
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ভর্তা সাহায্য করে। আঁশযুক্ত হওয়ায় শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
তাৎক্ষণিক শক্তি: কলার প্রাকৃতিক শর্করা তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। কলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ) দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যা সকালের আলসেমি ভাব দূর করতে সহায়তা করে। তাই দিন শুরু করার আগের একটি কলা খেলে আপনার তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে আপনাকে চনমনে করে তোলে।
দ্রুত শোষণ: খালি পেটে কলা খেলে কলার পুষ্টি আরও দ্রুত শোষিত হয়।
এছাড়াও, একটা জরিপে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন কলা খেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ ভাগ কমে যায়।
নারীস্বাস্থ্য ইমকন ১ পিল খাওয়ার নিয়ম
আরো পড়ুনঃ ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কি ও ঘরোয়া চিকিৎসা
কলায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরণের অ্যামিনো এসিড। কলা খাওয়ার পর, এই এসিড রক্তে মিশে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সেরোটোনিন নামক এক ধরণের উপাদান তৈরি করে, যা আমাদের আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি website করার জন্য কাজ করে। তাই মনকে ফুরফুরে করার জন্য, মানসিক চাপ, হতাশা এবং বিষন্নতা দূর কারার জন্য কলা খাওয়া যেতে পাড়ে।
যে সকল ব্যাক্তির কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কাঁচা কলা ঔষধের মত কাজ করে। এখনো আমাদের দেশে, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য জনিত সমস্যার প্রধান উপায় হিসেবে কাঁচা কলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলাতে অন্যান্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রয়েছে ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে বেশ কার্যকারী। এছাড়াও কলা হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্যও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। একটি মাঝারি আকারের কলাতে রয়েছে তিন গ্রাম ফাইবার। কলায় সচরাচর দুই রকমের ফাইবার পাওয়া যায়। পেকটিন ও রেজিস্ট্যান্স স্টার্চ। রেজিস্ট্যান্স স্টার্চের জন্য কলা হজমের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হয়ে থাকে। তবে, পেকটিন কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকক্ষেত্রে দূরীভূত হয়।
৪। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে কলার ভূমিকা
নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।